রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারে বকেয়া ভর্তুকি সামলানো এবং আমদানি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় আগামী অর্থবছরকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছে অর্থ মন্ত্রণালয়।মন্ত্রণালয় এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি কৌশল প্রস্তাব করেছে। তার মধ্যে রয়েছে ধীরে ধীরে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বাজার-ভিত্তিক ব্যবস্থায় স্থানান্তরিত করা এবং বকেয়া ভর্তুকি কমিয়ে আনতে সীমিত পর্যায়ে কৃচ্ছ্রসাধন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা।এটি অটোমেশনের মাধ্যমে কর প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধি, আয়কর ও মূল্য সংযোজন করের আওতা বাড়ানো এবং ক্রমান্বয়ে কর রেয়াত হ্রাস করারও প্রস্তাব করেছে।
২০২৩–২৪ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি এবং প্রণোদনার জন্য এক লাখ ১০ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী ২০২৪–২৫ অর্খবছরের বাজেটে এ বরাদ্দ এক লাখ ২০ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আগামী অর্থবছরের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব আহরণ বাড়ানো।তিনি বলেন, অর্থনীতির বিদ্যমান অসুবিধা মোকাবিলায় আসন্ন বাজেটে বিভিন্ন পদক্ষেপে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ছিল মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং পাঁচ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়। তবে এর কোনোটিই পূরণ হচ্ছে না।
সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৭ শতাংশে সমন্বয় করা এবং রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে চার লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকায় করা হলেও তা অর্জন সম্ভবপর হবে না বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।আগামী অর্থবছরের জন্য সাড়ে ৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতির হার এবং পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণকে বেশ চ্যালেঞ্জিং হিসাবে দেখছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA